Posts

Showing posts from April, 2017

আদা

Image
আদার পরিচিতি আদা একটি প্রাকৃতিক মশলা। পুরো বিশ্বে আদা একটি জনপ্রিয় উপাদান। কিছু কিছু রান্নায় আদা ছাড়া যেন স্বাদই হয় না। আদাতে আছে নানা প্রকার ঔষধি গুণ। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ঔষধের বিকল্প হিসেবে আদা ব্যবহার করা হতো। আদায় ভিটামিন এ,সি, ই, বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সিলিকন, সোডিয়াম, আয়রণ, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন আছে। আদার ঔষধি গুণ পাওয়ার জন্য কাঁচা, শুকনো, অথবা রস করে খেতে পারেন।  আদার ভেষজ ব্যবহার   ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : আদা রক্তের চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইন্সুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁরা সকালে খালি পেটে এক টেবিল চামচ আদার রস পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে। এছাড়াও ডায়াবেটিস জনিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও আদা কার্যকারী।  ঠান্ডা লাগা ও ফ্লু ভালো করে: নিয়মিত আদা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি সমস্যা কম হয়। এছাড়াও আদায় অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান আছে। ঠান্ডা লাগলে দি...

পাথরকুচি

Image
পাথরকুচি গাছের পরিচিতি বাংলা নাম পাথরকুচি। পাথরকুচি গাছটি আমাদের দেশে সর্বত্রই একটি অতি সুপরিচিতি গাছ। গৃহস্থরা এর গুণের জন্য একে যত্ন করে বাড়িতে লাগিয়ে থাকেন। এই ভেষজটির নামকরণ থেকেই বোঝা যায়, এটি পাথরকে কুচি কুচি করে বা চূর্ণ করে ফেলতে পারে। আবার এটি শরীর অভ্যন্তরের বিশেষ বিশেষ আশয়ে জন্মানো কঠিন পাথরকেও ভেঙে দিতে পারে। আর এজন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে পাষাণভেদ ইত্যাদি। প্রায় সব নামই একই অর্থ বহন করে। পাথরকুচি ঔষধি উদ্ভিদ। Crassulaceae ফ্যামিলির এই উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম Kalanchoe pinnata (Lamk.) Pers. ফ্যামিলি ।দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়। পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। কাঁকর মাটিতে সহজেই জন্মে, তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে। কোথাও কোথাও কফপাতা নামে পরিচিত।  পাথরকুচির ভেষজ ব্যবহার  রোগ প্রতিরোধে পাথরকুচির পাতা অতুলনীয়।   দীর্ঘদিন যাঁরা সর্দিকাশিতে ভুগছেন, তাঁরা পাথরকু...

নয়ন তারা

Image
নয়ন তারা গাছের পরিচিতি নয়নতারা ভেষজটি উপমহাদেশের সমতলভূমির প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়। পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট এবং তিন প্রকার রঙ্গের দেখা যায়। একটি গোলাপি, হালকা গোলাপি, অন্যটি সাদা । ফল দেখতে অনেকটাই সর্ষের শুঁটির মত, বেঁটে, একটু মোটা এবং বেলুনাকার। শুঁটিতে অনেক বীজ থাকে।  নয়নতারার বৈজ্ঞানিক নাম Catharanthus roseus এটি Apocynaceae (dogane অথবা oleander পরিবার) পরিবারের উদ্ভিদ। উচ্চতায় ৬০-৮০ সেন্টিমিটার (২ ফুট) পর্যন্ত হয়। সুন্দর সবুজ চকচকে পাতাযুক্ত গুল্ম ধরনের গাছ। ফুল ফোটে সারা বছর। গাছও লাগানো যায় সব ঋতুতে। ফুল বিভিন্ন রঙের হতে পারে যেমন, সাদা, বেগুনি, রোজিয়া ও গোলাপী বর্ণের হয়। অসাধারণ ছোট একটি ফুল। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। যে কোন মানুষকেই এই ফুল আকর্ষণ করতে সক্ষম। কলম করে এটি লাগানো যায়। গাছটি গরু ছাগলে খায় না। বুনো জংলি এই গাছটি সহজে মরেও না, আর অনাদরে অবহেলায়ও এটি বাঁচতে পারে। এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। নয়নতারার ভেষজ ব্যবহার   ক্বাথ তৈরির নিয়ম : নয়নতারার একটি গাছ ও শুকনো মুলের ১ গ্রাম,কাঁচা হলুদ ২ গ্রাম থেঁতলে এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ক্বাথ করে নিয়ে এক...

পুদিনা পাতা

Image
পুদিনা গাছের পরিচিতি সপুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ঔষধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগ আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সাথে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে বেশি ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের বড়া তৈরির কাজে।  পুদিনা এক প্রকারের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Mentha spicata । এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত। পুদিনার ভেষজ ব্যবহার  গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও ফুসকুরি সমস্যায় কয়েকটি পুদিনার পাতা চটকে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ভালো কাজ হয়।  মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে পুদিনা পাতা পানির সাথে মিশিয়ে কুলি করুন,উপকার পাবেন।  পুদিনা পাতা হজম শক্তি বাড়ায়,মুখের অরুচি ও গ্যাসের সমস্যা দুর করে,কর্মক্ষমতা বৃদ্বি করে ও শরীর ঠান্ডা রাখে।  মাইগ্রেনের ব্যাথা দুর করতে নাকের কাছে টাটকা পুদিনা পাতা ধরুন।এর গন্ধ মাথাব্যাথা সারাতে খুবই উপকারি। ...

ঘৃতকুমারী

Image
ঘৃতকুমারী গাছের পরিচিতি স্বাস্থ্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার হয়ে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই। আয়ুর্বেদ বলুন আর ইউনানি - ভেষজ উদ্ভিদের জয়জয়কার সর্বত্র! আমাদের খুব পরিচিত ঘৃতকুমারী এমনই একটি গুণী উদ্ভিদ। রাস্তার পাশে প্রায়ই কিছু লোককে দেখা যায় ঘৃতকুমারীর পাতা বিক্রি করতে। ঘৃতকুমারীর শরবতও বেশ বিক্রি হয় গরমের সময়। কর্মজীবী মানুষদের দেখা যায় এই শরবত পান করে শরীর জুড়াতে।  ঘৃতকুমারী একটি বহুজীবি ভেষজ উদ্ভদ। দেখতে ফণিমনসা ক্যাকটাসের মতো হলেও এটা ক্যাকটাস নয়। আরো ভালো করে বললে ঘৃতকুমারী দেখতে ঠিক আনারসের গাছের মতো। পাতাগুলো চওড়া, পুরু ও গাঢ় সবুজ। পাতার দুপাশে করাতের মতো কাঁটা রয়েছে। পাতার ভেতরে লালার মতো পিচ্ছিল শাঁস থাকে। ঘৃতকুমারী লিলিজাতীয় গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Aloe Vera। এটি Asphdelaceae (Aloe family) পরিবারের উদ্ভিদ। সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ ধরনের ঘৃতকুমারীর গাছ পাওয়া যায়। ঘৃতকুমারীর ভেষজ ব্যবহার   শক্তিবর্ধক : আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু উপাদান থাকে যা দেহে ক্লান্তি ও শ্রান্তি আনে। কিন্তু নিয়মিত ঘৃতকুমারীর ...

চিরতা

Image
চিরতা গাছের পরিচিতি চিরতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর জন্মে। Gentianaceae ফ্যামিলির উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম Swertia chirata.  চিরতা বর্ষজীবি উদ্ভিদ। গাছটির গড় উচ্চতা প্রায় দেড় মিটার। গাছের পাতা কম-বেশী ১০ সে.মি. দীর্ঘ। পাতার অগ্রভাগ সূঁচালো। ফুল বৃন্তহীন, জোড়ায় জোড়ায় বিপরীতমুখী হয়ে ফোটে। ফুল হালকা সবুজের সঙ্গে গোলাপী মেশানো প্রত্যেক পাপড়ি লতিতে এক জোড়া সবুজ গ্রন্থি থাকে। ফল ৬ মি.মি. কিম্বা তারও বেশী লম্বা এবং ডিম্বাকৃতি। চিরতা সম্পর্কিত মহানবী (সঃ) এর উক্তি একদা রাসূলে পাক (সা.) এর মহিয়সী বিবিগণের মধ্যে কোনো এক জনের আঙুলে ফোঁড়া বের হয়। তাঁর বর্ণনা মতে, ‘রাসূলে পাক (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কাছে কি যারিরাহ (চিরতা) আছে? আমি বললাম জী, হ্যাঁ। রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করলেন, ‘ফোঁড়ার ওপর যারিরাহ লাগিয়ে দাও এবং এই দোয়া পাঠ কর।  চিরতার ভেষজ ব্যবহার  ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে ৫ থেকে ১০ গ্রাম চিরতা চার কাপ পানিতে সিদ্ধ করে দুই কাপ করুন। এরপর ওই পানি ছেঁকে সকালে অর্ধেক এবং বিকেলে অর্ধেক করে খেতে দিন। জ্বর ভালো হয়ে যা...

দূর্বা ঘাস

Image
দূর্বা ঘাস দূর্বা ঘাস, ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। মাঠে-ময়দানে ,ঘরবাড়ির আনাচকানাচে আপনাআপনি জন্মায়। এর পাতা সরু ও লম্বা। মসৃণ ও সবুজ বর্ণের হয়। মাটির নিচে এর গুচ্ছমূল থাকে। আলাদা করে চাষের প্রয়োজন হয় না।  দূর্বা ঘাসের এর বৈজ্ঞানিক নাম Cynodon dactylon Pers। দূর্বা ঘাসের ভেষজ ব্যবহার  দূর্বা ঘাস চিবিয়ে কেটে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে দিলেই রক্তপাত বন্ধ হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে যাওয়া স্থান ঠিক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দূর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।  রক্তক্ষরণ, কেটে যাওয়া বা আঘাতজনিত রক্তপাত, চুল পড়া, চর্মরোগ, দন্তরোগ ও আমাশয়ে উপকারী।  একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা ফেলে নিন। তারপর দূর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে ফের জ্বাল দিন। চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন। গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ওই তেল চুলে মাখুন। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।  বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ১ চা চামচ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পর পর খাবেন। বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।  ...

রসুন

Image
রসুন রসুন শুধু স্বুস্বাদুই নয় , ইহা একটি স্বাস্থপোকারী বিভিন্ন ফাইটোক্যামিক্যালস্‌ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাদ্য। রসুন সৃষ্টিকর্তার একটি মহান নিয়ামত। রসুনে রয়েছে ভিটামিন সি,পটাশিয়াম, আঁশ,ফলিক এ্যাসিড,ক্যালসিয়াম, আয়রণ এবং প্রোটিন। তবে রসুনে সোডিয়াম কম এবং কোন ফ্যাট নাই। এক কথায় রসুনের গুনের শেষ নেই।  রসুনের এর বৈজ্ঞানিক নাম Allium sativum। রসুনের ভেষজ ব্যবহার হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে : নিয়মিত রসুন খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। রসুন রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে এবং রক্তনালীর বাঁধা দূর করে। এছাড়াও রসুন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রকম সমস্যার ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই।  ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়:  প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া করে রসুন খেলে অনেক ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অন্যান্য কিছু প্রাণঘাতী ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে রসুন অনন্য। এছাড়াও যারা প্রতিদিন ১০ গ্রামের বেশি পরিমাণে রসুন খান তাদের প্রষ্টেট ক্যাসার হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক কম।    ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল রোগের ঝুঁকি কমায়: রসুন এর অ্যান্টি...

কালিজিরা

Image
কালিজিরা সম্পর্কে একটুখানি বহু প্রাচীনকাল থেকেই কালজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় চৌদ্দশত বছর আগে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন, ‘‘কালজিরা রোগ নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা কালজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই প্রায় সকল রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্যে নিহিত রয়েছে।’’ সেজন্য যুগ যুগ ধরে পয়গম্বরীয় ঔষধ হিসেবে সুনাম অর্জন করে আসছে। তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কানন অব মেডিসিন' এ বলেছেন, ‘‘কালজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।’’  কালোজিরা Ranunculaceae গোত্রের উদ্ভিদ এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Nigella sativa। লম্বায় ২০-৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর আদি নিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া। বাংলা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে এর ফুল ফোটে এবং শীতকালে ফল ধরে। ফলের আকার গোলাকার এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে। এর বীজ কালো বর্ণের এবং প্রায় ত্রিকোণাকার। এর বীজগুলো একটি খোলসের ভিতরে থাকে। খোলসের ভিতরে অনেক বীজ থাকে। এর বীজগুলোতে তেল থাকে। এই উদ্ভিদের বীজ ব্যবহার করা হয়। মূলত এই বীজ...

অশ্বগন্ধা

Image
অশ্বগন্ধা গাছের পরিচিতি অশ্বগন্ধা আমাদের দেশের ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম। গাছের গন্ধ ঘোড়া বা অশ্ব এর মত বলেই সংস্কৃতে একে অশ্বগন্ধা বলে। বাংলায় ও আমার অশ্বগন্ধা-ই বলে থাকি। শক্তিবর্ধক হিসেবে এবং এ্যাফ্রোডেসিয়াক হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেই ইংরেজিতে একে Indian Ginseng বলে। Solanaceae ফ্যামিলির গাছ অশ্বগন্ধার বৈজ্ঞানিক নাম Withania somnifera (L.) Dunal ।  Withanine নামক রাসায়নিক উপাদান এই গাছ থেকে আলাদা করার কারণে এই গাছের নামে Withania নামকরণ করা হয়েছে। আর somnifera এসেছে somnifer থেকে যার মানে নিদ্রা আনয়নকারী। মূল এবং পাতা স্নায়ুর বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়। এ গাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকায় পাওয়া যায়। নিদ্রা আনয়নকারী ঔষধ হিসেবে প্রচীন মেসোপটেমিয়া এবং মিশরে এর ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। অশ্বগন্ধার ভেষজ ব্যবহার   শক্তিবর্ধক : এ গাছের রস শক্তিবর্ধক। চলত্ শক্তি, কর্মশক্তি কিংবা ইন্দ্রীয়শক্তি বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী অশ্বগন্ধা। শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার নাম সুবিদিত।  স্নায়ুবিক রোগে উপশমকারি: অশ্বগন্ধার এর মূল ও পাতা স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগে উপশম আনে। দুধ ও...

কালমেঘ

Image
কালমেঘ গাছের পরিচিতি ভেষজশাস্ত্রে ঔষধি গাছ হিসাবে কালমেঘের ব্যবহার অগনিত। কালমেঘের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Andrographis paniculata ।কালোমেঘের ১ সে.মি. লম্বা ফুলের রং গোলাপী। দেড় থেকে দু সে.মি. লম্বা ফল অনেকটা চিলগোজার মতন দেখতে।শিকড় ব্যতীত কালমেঘ গাছটির সব অংশই ঔষুধের কাজে লাগে। কালমেঘ অত্যন্ত তেতো এবং পুষ্টিকর। কালমেঘগাছের ভেষজ ব্যবহার  শিশুদের যকৃৎ রোগে এবং হজমের সমস্যায় কালমেঘ ফলপ্রদ। কালমেঘের পাতা থেকে তৈরী আলুই পশ্চিম বাংলার ঘরোয়া ঔষুধ যা পেটের অসুখে শিশুদের দেওয়া হয়।   টাইফয়েড রোগে এবং জীবানুরোধে কালমেঘ কার্যকরী।   কোথাও কোথাও কালমেঘ গাছ বেটে সরষের তেলে চুবিয়ে নিয়ে চুলকানিতে লাগানো হয়।   পাতার রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও লিভার রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।   কালমেঘ গাছের পাতার রস জ্বর, কৃমি, অজীর্ণ, লিভার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।   কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।   এ গাছের রস রক্ত পরিষ্কারক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক ও রেচক হিসেবেও কাজ করে।   এ গাছের পাত...

অর্জুন

Image
অর্জুন গাছের পরিচিতি ভেষজশাস্ত্রে ঔষধি গাছ হিসাবে আর্জুনের ব্যবহার অগনিত। অর্জুন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Terminalia arjuna । বলা হয়ে থাকে, বাড়িতে একটি অর্জুন গাছ থাকা আর এক জন ডাক্তার থাকা একই কথা।এর ঔষধি গুন মানবসমাজের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে সুপ্রাচীন কাল থেকেই।  শরীরের বল ফিরিয়ে আনা এবং রণাঙ্গনে মনকে উজ্জীবিত রাখতে অর্জুন ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে মহাভারত ও বেদ-সংহিতায়।তার পর যত দিন যাচ্ছে ততই অর্জুনের উপকারী দিক উদ্ভাবিত হচ্ছে। অর্জুন গাছের ভেষজ ব্যবহার  যাদের বুক ধড়ফড় করে অথচ উচ্চ রাক্তচাপ নাই, তাদের পক্ষে অর্জুন ছাল কাঁচা হলে ১০-১২ গ্রাম, শুকনা হলে ৫-৬ গ্রাম একটু ছেঁচে ২৫০ মিলি দুধ ও ৫০০ মি লি জল এর সাথে মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে আনুমানিক ১২৫ মিলি থাকতে ছেঁকে বিকেলবেলা খেলে বুক ধড়ফড়ানি কমে যায়।তবে পেটে যাতে বায়ু না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।   অর্জুন ছাল বেটে খেলে হৃৎপিন্ডের পেশি শক্তিশালী হয়, হৃৎপিন্ডের ক্ষমতা বাড়ে।এটি রক্তের কোলেষ্টরল কমায় এবং ফলত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।  বিচুর্ণ ফল মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভারসিরোসি...

বহেড়া

Image
বহেড়া গাছের পরিচিতি বহেড়া নাম প্রায় সর্বত্র প্রসিদ্ধ। বহেড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Terminalia balerica ত্রিফলার অন্যতম ফল বহেড়া। লোকশ্রুতি আছে, বহেড়া ভেজানো এক কাপ পরিমাণ পানি নিয়মিত পান করলে দীর্ঘায়ু হওয়া যায়। সুদীর্ঘকাল ধরে এর বীজ, ফল, বাকল প্রভৃতি নানা রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিত্সায় ব্যবহার হয়ে আসছে।  বহেড়া গাছ উচ্চতায় ৬০-১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় অর্থাঁৎ খুবই বড় গাছ। গাছের গুড়িও অনেক লম্বা। শীত কালে এর ফল পুষ্ট হয়, তারপর নিজ থেকেই গাছ থেকে খসে পড়ে। এ গাছের ফল দু’রকমের হয়-এক প্রকার গোল, আরেকটি ডিম্বাকৃতির। এর ফল ও ফলের শাস ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বহেড়ার ভেষজ ব্যবহার   হজমশক্তি বাড়াতে: বহেড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক। এ ফলের খোসা ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। পানির সঙ্গে এ গুঁড়ো দিনে দুবার খেয়ে যান। ক্ষুধামান্দ্য তাড়াতেও একই প্রণালি অনুসরণ করতে পারেন।   শ্লেষ্মা নিরাময়ে : প্রথমে বহেড়া পিষে নিন। এর সঙ্গে গরম ঘি মিশিয়ে আবার গরম করে নিন। শেষে মধু দিয়ে খেয়ে ফেলুন। পাশাপাশি সর্দি-কাশি তাড়াতেও বহেড়া বেশ উপকারে আসে।    আমাশয় থেকে দূরে থাকতে: আমাশয়ে ভুগছ...

তেলাকুচা

Image
তেলাকুচা গাছের পরিচিতি তেলাকুচা নাম প্রায় সর্বত্র প্রসিদ্ধ। Cucurbitaceae ফ্যামিলির এই উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম Coccinea cordifolia এ লতাজাতীয় উদ্ভিদটি বাংলাদেশের সব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। অনেকে একে শাক হিসেবে ব্যবহার করেন। এর পাতাগুলো গাঢ় সবুজ বর্ণের এবং কোমল। ফুলগুলো সাদা। ফলগুলো প্রায় পটোলের মতো। পাকলে সুন্দর রক্তবর্ণ ধারণ করে।  তেলাকুচা দুই ধরনের। এক প্রকার তিতা এবং অপরটি মিষ্টি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, তিতাটিকে তেলাকুচা এবং মিষ্টিটিকে তু-কেরী বলা হয়। ওষুধে তিতাটিই ব্যবহার করা হয়। এর সবকিছুই ব্যবহৃত হয়। কিভাবে খাওয়া যায় ? শাক তোলার পর তাজা শাক ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এই শাক অন্যান্য শাকের মত তেল, মরিচ, পেয়াজ, লবন দিয়ে ভেজে খাওয়া হয়। এলাকাভেদে রান্নায় হলুদ-মরিচ বা অন্য মশলা স্বাদ মতো মেশানো যেতে পারে। টাকি মাছ বা ছোট মাছ দিয়ে ঝোল রেঁধে এটি খাওয়া যায়। আদিবাসী ডালুদের ভেতর শাক সিদ্ধ করে লবন-মরিচ মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ আছে।  তেলাকুচার ভেষজ ব্যবহার  তেলাকুচার তিক্তরস ও মধুর রস শীতবীর্য, শ্বাস-কাশ, জ্বর, রক্তদোষ, ডায়াব...

থানকুনি

Image
থানকুনি গাছের পরিচিতি বাংলা নাম থানকুনি। অঞ্চলভেদে এটি টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে পরিচিত। ইংরেজি নাম Indian Pennywort, বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica এবং পরিবার Mackinlayaceae.  থানকুনি পাতা বাংলাদেশের সবজায়গায় জন্মায়। বাসা-বাড়ির সৌন্দর্য অংশ হিসেবে অনেকে আবার টবে রোপণ করে থাক এই পাতা। এছাড়া থানকুনি পাতা দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। থানকুনির ভেষজ ব্যবহার   জ্বর : থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।    পেটের পীড়া: অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভাল করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের পীড়া ভাল হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।    পাঁচড়া রোধ : কাঁচা হলুদের রস চা চামচের ২ চামচ, থানকুনি পাতার রস ২/৩ চামচ একত্রে মিশিয়ে শরীরে মাখলে পাঁচড়া রোগ ভাল হয়।   গ্যাস্ট্রিক : আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা...

হরতকি

Image
হরতকি গাছের পরিচিতি আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি হরীতকী। এর নানা গুণ আছে। স্বাদ তিতা। এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেরল-সমৃদ্ধ।                                     হরতকির ভেষজ ব্যবহার  হরীতকী দেহের অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং একই সঙ্গে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে।  এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। হৃৎপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে।   এটা রেচক, কষাকারক, পিচ্ছিলকারক,পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়বিক শক্তিবর্ধক। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।  হরীতকীতে অ্যানথ্রাকুইনোন থাকার কারণে রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হরীতকী।   হরীতকীর গুঁড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে মাথায় লাগালে চুল ভালো থাকবে। হরীতকীর গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।   অ্যালার্জি দূর করতে হরীতকী বিশেষ উপকারী। হরীতকী ফুটিয়ে ...

আমলকী

Image
আমলকী গাছের পরিচিতি আমলকী আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত, সহজপ্রাপ্য ও সহজলভ্য ফল। বাংলাদেশের প্রায় সকল স্থানেই কম-বেশী আমলকী জন্মে থাকে। অত্যাধিক পরিমানে ভিটামিন সি থাকার কারনে আমলকীকে ভিটামিন সি -এর রাজা বা KING of Vitamin-C বলা হয়। আমলকী গাছের উচ্চতা ৮-১৮ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাতা ২ ইঞ্চি লম্বা হয় আর পাতার রঙ হালকা সবুজ। আমলকী ফল গোলাকৃতি, রঙ হালকা সবুজ। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই আমলকীর গাছ দেখতে পাওয়া যায়। গাছের বয়স ৪-৫ বছর হলেই গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত,মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা , মালয়শিয়া ও চীনে আমলকী পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম আমলকীতে যা থাকে ভিটামিন সি থাকে ৪৬৩ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৬.২ গ্রাম, আঁশ ৩.৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৭০ কিলোক্যালরি, ক্যালরি ৩২ কিলোক্যালোরি, ক্যারোটিন ৪৭০০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম, পানি ৯১.৪ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৭ গ্রাম, প্রোটিন ০.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ গ্রাম, আয়রন ১.২ মিগ্রা, ভিটামিন বি১- ১০.০২ মিগ্রা, ভিটামিন২- ২০.০৮। আমলকীর ভেষজ ব্যবহার  প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় নিয়মিত ২/১টি করে আমলকী খেলে ভিটামিন সি ...

বাসক

Image
বাসক গাছের পরিচিতি বাসক একটি ভারত উপমহাদেশীয় ভেষজ উদ্ভিদ। আর্দ্র, সমতলভূমিতে এটি বেশী জন্মে। লোকালয়ের কাছেই জন্মে বেশী। হালকা হলুদে রংয়ের ডালপালায়ক্ত ১ থেকে ২ মি. উঁচু গাছ, ঋতুভেদে সর্ব্বদাই প্রায় সবুজ থাকে। বল্লমাকারের পাতা বেশ বড়। ফুল ঘন, ছোট স্পাইকের ওপর ফোটে। স্পাইকের বৃন্ত পাতার চেয়ে ছোট। স্পাইকের ওপর পাতার আকারে উপপত্র থাকে যার গায়ে ঘন এবং মোটা শিরা থাকে। ফুলের দল (কোরোল্লা বা পত্রমূলাবর্ত) সাদা বর্ণ। তার ওপর বেগুনী দাগ থাকে। ফল সুপারি আকৃতির; বীজে ভর্তি।                                       বাসকের ঔষধী গুণ তাজা অথবা শুকানো পাতা ওষুধের কাজে লাগে। বাসকের পাতায় “ভাসিসিন” নামীর ক্ষারীয় পদার্থ এবং তেল থাকে। শ্বাসনালীর লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে বলে বাসক শ্লেষ্মানাশক হিসেবে প্রসিদ্ধ । বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা ক’রে দেয় বলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহমূলক ব্যাধিতে বিশেষ উপকারী।  তবে অধিক মাত্রায় খেলে বমি হ...

মেহেদী

Image
মেহেদীর পরিচিতি মেহেদী মানব সমাজের জন্য প্রকৃতির এক অনবদ্য দান। এর রয়েছে এন্টি ফাঙাল, এন্টি মাইক্রোবিয়াল, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ইনফ্লেমেটরী, কুলিং, হিলিং ও সিডেটিভসহ অনেক গুনাগুণ যা মানব দেহ ও মনের বিভিন্ন রোগ প্রশমনকারী। তাই হাজার হাজার বছর ধরে মানব জাতি পাথ্য হিসেবে মেহেদী গাছের বিভিন্ন অংশ নানা কারনে ব্যবহার করে আসছে।  ইসলাম ধর্মে মেহেদি ১৫০০ বছর ধরে মুসলিম নারীরা মেহেদী ব্যবহার করে আসছে। নবীজি মুসলিম নারীদের হাতে মেহেদীর নক্সা করাকে উৎসাহিত করতেন। নবী কন্যা ফাতেমা নিয়মিত হাতে মেহেদীর ডিজাইন করতেন। নবীজী নিজেও তার দাড়িতে মেহেদী ব্যবহার করতেন। ইসলামী খেলাফতের সময় থেকে মুসলিম বিশ্বে মেহেদীর ব্যবহার ধর্মীয় রীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।  রাসূলে পাক (সা:) মেহেদির পাতাকে বিভিন্ন রোগে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেন। (১) ফোড়া পাকানোর জন্য (২) শরীরে কাঁটা ফুটলে, (৩) মাথাব্যথায়।- হজরত সালমা বিনতে উম্মে রাফে (রা:) হতে বর্ণিত আছে, ‘যখনই রাসূলে পাক (সা:)-এর কোনো ফোড়া, পাঁচড়া বের হতো অথবা কাঁটা বা এই প্রকারের কিছু ঢুকে যেত, তখনই রাসূলে পাক (সা:) আমাকে বলতেন এর ওপর মেহে...

তুলসী

Image
তুলসী গাছের পরিচিতি তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। ব্যবহার  জ্বর হলে জলের মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন৷ অথবা তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান৷ জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে৷   কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান৷ এতে উপকার পাবেন৷   পেট খারাপ হলে তুলসীর 10 টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে 3-4 বার খান৷ পায়খানা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে৷   মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে 4-5 বার তুলসী পাতা চেবান৷   ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান কমে যাবে৷   শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে৷ পোড়া ...

নিম

Image
নিমের পরিচিতি নিম একটি ঔষধি গাছ, বৈজ্ঞানিক নাম (AZADIRACHTA INDICA)। এর ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর।নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। এ কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও তৈরি করা হচ্ছে আজকাল। Neem এছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উত্পাদন ও প্রসারকে উত্সাহ এবং অন্যায়ভাবে নিম গাছ ধ্বংস করাকে নিরুত্সাহিত করছে। নিমের এই গুনাগুনের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষনা করেছে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ।নিম গাছের পাতা, ফল, ছাল বা বাকল, নিমের তেল,বীজ। এক কথায় নিমের সমস্ত অংশ ব্যবহার করা যায়। ঔষধি গুণাগন বিশ্বব্যাপী নিম গাছ, গাছের পাতা, শিকড়, নিম ফল ও বাকল ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বিশ্বে নিমের কদর তা কিন্তু এর অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যহারের জন্য। নিম ছত্রাকনাশক হিসেবে, ব্যাকটেরিয়া রোধক হিসেবে ভাইরাসরোধক হিসেবে, কীট-পতঙ্গ বিনাশে চ্যাগাস রোধ নিয়ন্ত্...