দূর্বা ঘাস

দূর্বা ঘাস

দূর্বা ঘাস, ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। মাঠে-ময়দানে ,ঘরবাড়ির আনাচকানাচে আপনাআপনি জন্মায়। এর পাতা সরু ও লম্বা। মসৃণ ও সবুজ বর্ণের হয়। মাটির নিচে এর গুচ্ছমূল থাকে। আলাদা করে চাষের প্রয়োজন হয় না। 

দূর্বা ঘাসের এর বৈজ্ঞানিক নাম Cynodon dactylon Pers।


দূর্বা ঘাসের ভেষজ ব্যবহার

  •  দূর্বা ঘাস চিবিয়ে কেটে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে দিলেই রক্তপাত বন্ধ হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে যাওয়া স্থান ঠিক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দূর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
  •  রক্তক্ষরণ, কেটে যাওয়া বা আঘাতজনিত রক্তপাত, চুল পড়া, চর্মরোগ, দন্তরোগ ও আমাশয়ে উপকারী।
  •  একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা ফেলে নিন। তারপর দূর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে ফের জ্বাল দিন। চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন। গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ওই তেল চুলে মাখুন। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
  •  বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ১ চা চামচ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পর পর খাবেন। বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।
  •  আমাশয়ে দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস ৪ থেকে ৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার খান। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
  •  দূর্বাঘাসের (সমগ্র উদ্ভিদের) রস মধু সহ দিনে ৩-৪ বার সেবন করতে হবে। ১০-১৫ দিন নিয়মিত সেবন করলে ঋতুস্রাব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।


Comments

Popular posts from this blog

নয়ন তারা

কালমেঘ

বহেড়া